google.com, pub-9578994771857186, DIRECT, f08c47fec0942fa0 فوائد مهمة في الصلاة على نبي الأمة নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর প্রতি ছালাত পাঠ প্রসঙ্গে উপকারী গুরুত্বপূর্ণ কিছু তথ্য - সপ্তম তথ্য[1] - PDF BOOKS

Header Ads

Header ADS

فوائد مهمة في الصلاة على نبي الأمة নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর প্রতি ছালাত পাঠ প্রসঙ্গে উপকারী গুরুত্বপূর্ণ কিছু তথ্য - সপ্তম তথ্য[1]

নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম। এই প্রথম তাশাহহুদ ও অপরটিতেও উম্মতের জন্য দুআ পড়া সুন্নাত সম্মত করেছেন। তিনি বলেছেনঃ

إذا قعدتم في كل ركعتين فقولوا: (التحيات لله. . . ثم قال: ثم ليتخير من الدعاء أعجبه إليه

যখন তোমরা প্রতি দুই রাকাআত পর বসবে তখন বলবে, আত্তাহিয়াতু লিল্লাহি......” (শেষ পর্যন্ত উল্লেখ করার পর বলেছেন)। অতঃপর নিজের নিকট অধিক পছন্দনীয় দুআ বেছে নিয়ে পাঠ করবে।[2]



===   ===   ===

সূত্র ও ব্যাখ্যঃ

[1] অনেক বিদআতপন্থী নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর প্রতি ছালাত (দরুদ) পাঠের নির্দেশ ও ফযীলতমূলক দলীলগুলো দিয়ে প্রচলিত মিলাদ অনুষ্ঠান বা মিলাদ মাহফিল সাব্যস্ত করে। এটা মহা অন্যায়, এতে কোন সন্দেহ নেই। কুরআনে ও হাদীছে উল্লেখিত দরুদ ও মিলাদের মাঝে আকাশ-পাতাল পার্থক্য। প্রচলিত মিলাদ মাহফিল জঘন্যতম বিদআত ও পাপের কাজ এবং কুরআন হাদীছে উল্লিখিত দরুদ ইবাদত ও পুণ্যের কাজ। আর দুরূদ তখনই ইবাদত ও পুণ্যের কাজ হবে যখন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর শিখানো ভাষা-ভঙ্গি ও পদ্ধতি অনুযায়ী হবে, অন্যথায় তা জঘন্যতম বিদআতে পরিণত হবে। এই আশঙ্কার জন্যই তো ছাহাবাগণ রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে জিজ্ঞেস করেছিলেনঃ আপনার প্রতি কিভাবে দরুদ পাঠ করবো? তিনি উত্তরে বলেছিলেনঃ তোমরা বলবে, আল্লাহুম্মা ছল্লি আলা মুহাম্মাদ ... (দুরুদে ইবরাহীমের শেষ পর্যন্ত)। পদ্ধতি জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল অথচ তার উত্তরে তিনি শুধু দরুদে ইবরাহীম বলার নির্দেশ দিয়েছেন। কাউকেও তিনি নিজের নির্বাচিত বা বানানো ভাষায় দরুদ পড়ার অধিকার দেননি। আর মুখে সরল সোজাভাবে বলা ছাড়া কোন বাড়তি পদ্ধতি যেমন দলবদ্ধভাবে, সমস্বরে, সুর ঝংকারের সাথে আনুষ্ঠানিকতার ভিতর দিয়ে বা দরুদের আগে পিছে বিভিন্ন আরবী, ফার্সী, উর্দু, বাংলায় নবীর শানে অতিরঞ্জিত প্রশংসামূলক কবিতা ও কাহিনী আবৃত্তি করার মোটেও অধিকার দেননি। যেমনটি তথাকথিত বড় বড় পীর-মুর্শিদ, আলিম-ওলামাগণ করে থাকেন ও শিখিয়ে থাকেন। প্রচলিত মিলাদ বা এভাবে দরুদ পড়ার অস্তিত্ব নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম, ছাহাবা, তাবেঈগণের যুগে ছিল না। চার ইমামসহ কোন মুহাক্কিক সত্যিকার আলিম কোন যুগে এ মিলাদ পড়েননি এবং পড়েনও না যারা পড়ে তারা প্রচলিত আলিম, প্রকৃত নয়।

ইসলামের আবির্ভাব ভূমি তথা মক্কা-মদীনায় আজও এ বিদ্যআতের অস্তিত্ব নেই। এ বিদ্যআতের প্রথম বীজ বপণ করে মিসরের শিআহ ফাতিমী বংশের ক্ষমতাসীন নেতৃবৃন্দ চতুর্শতক হিজরী সনে। আর জাকজমকভাবে এই বিদআতকে প্রতিষ্ঠিত করে ইরাকের আরবেল এলাকার গভর্নর মুযাফফারুদ্দীন কৌকাবর ৬০৪ হিজরী সনে। আল্লাহ সকলকে মীলাদ নামক এ বিদা আতটি পরিহার করার তাওফীক দান করুন। আমীন। (অনুবাদক)

[2] এ হাদীছটি উদ্ধৃত করেছেন নাসাঈ, আহমাদ, ত্ববারানী, ইবনু মাসউদ থেকে বিভিন্ন সূত্রে। এটি আরো উদ্ধৃত হয়েছে আছছহীহা গ্রন্থে (৮৭৮) এর নির্দেশনামূলক কথাসহ এবং এর সাক্ষ্যমূলক বর্ণনাও রয়েছে মাজমাউযু যাওয়ায়িদ গ্রন্থে (২/১৪২) ইবনুয যুবাইর এর বর্ণিত হাদীছ থেকে।





القيام إلى الركعة الثالثة ثم الرابعة তৃতীয় রাকাআতের উদ্দেশ্যে দণ্ডায়মান-অতঃপর চতুর্থ রাক'আতের উদ্দেশ্যে ]








No comments

Powered by Blogger.