قراءته صلى الله عليه وسلم آيات بعد الفاتحة في الأخيرتين শেষের দু' রকাআতেই ফাতিহার পর নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) কর্তৃক বিভিন্ন আয়াত পাঠের বর্ণনা

তিনি শেষ দু’রাকাআতকে প্রথম দুরাকাআত অপেক্ষা সংক্ষেপ করতেন তথা অর্ধেকের পরিমাণ যা পনের আয়াতের মত হয়।[1] আবার কখনো তিনি এ দুরাকাআতে শুধু ফাতিহাই পড়তেন।[2]

সূত্র ও ব্যাখ্যাঃ

[1] আহমাদ ও মুসলিম। এ হাদীছে শেষ দুরাকাআতে ফাতিহার অতিরিক্ত কিরা’আত পাঠ সুন্নতসম্মত হওয়ার দলীল রয়েছে। এ কথার পক্ষে একদল ছাহাবা রয়েছেন তন্মধ্যে আবু বকর (রাযিয়াল্লাহু আনহু) রয়েছেন, ইমাম শাফিঈর এটাই বক্তব্য চাই তা যহরের ছালাতে হোক আর অন্য কোন ছলাতে হোক। আমাদের পরবর্তীর্ণ উলামাদের মধ্যে এই মত গ্রহণ করেন আবুল হাসানাত লক্ষোভীঃ “আত-তা’লীকুল মুমাজ্জাদ আলা মুয়াত্তা মুহাম্মাদ” গ্রন্থে (১০২ পৃষ্ঠা)। তিনি বলেনঃ আমাদের কিছু সাথী আজগুবী কাজ করেছেন, তারা শেষ দুই রাকাআতে কিরা’আত পাঠের উপর সাহু-সজিদ ওয়াজিব করে দিয়েছেন المنية কিতাবের ব্যাখ্যাতাগণ এর সুন্দর প্রতিবাদ করেছেন। যথা ইবরাহীম হালবী, ইবনু আমীর আল হাজ ও অন্যান্যগণ। এতে কোন সন্দেহ নেই যে, যারা এ কথার প্ৰবক্তা তাদের নিকট হাদীছ পৌঁছেনি। যদি তাদের নিকট হাদীছ পৌছত তবে অবশ্যই তারা এ কথা বলতেন না।

[2] বুখারী ও মুসলিম।

 

[ وجوب قراءة الفاتحة فى كل ركعة প্রত্যেক রাক’আতে সূরা ফাতিহা পাঠ ফরয ]